Headlines

রাস্তার কুকুর কামড়ালে দায়ী থাকবেন, যাঁরা ওদের খাওয়ান: সুপ্রিম কোর্ট

নিজস্ব সংবাদদাতা : পথকুকুর কাউকে কামড়ায়, তবে যে বা যাঁরা ওই কুকুরগুলিকে নিয়মিত খাওয়ান দায়ী থাকবেন তাঁরাই এমনটা জানালো সুপ্রিম কোর্ট। পথ কুকুর কামড়ালে চিকিৎসার খরচ দিতে হবে তাঁদেরই। এমনকি কুকুরগুলির টিকাকরণের দায়িত্বও তাঁদের উপরেই বর্তায়। কেন হঠাৎ, সুপ্রিম কোর্ট এরকম একটা মন্তব্য করল? আসলে পথকুকুরের আক্রমণে অনেক সময়েই পথচারীরা বিপদে পড়ে যান। কুকুর কামড়ালে তো বিপদের শেষ নেই। ইনজেকশন নিতে হবে। আরও নানা জটিলতা থাকে। এবং রাস্তাঘাটে এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এসবের প্রকোপ কমাবারই একটা চেষ্টা এটা বলে জানা গিয়েছে। বিচারক সঞ্জীব খান্না এবং জে কে মাহেশ্বরীর বেঞ্চ কেরালার রাস্তায় পথকুকুরের এই ধরনের আক্রমণ-সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে এই কথা বলে। বিচারক সঞ্জীব খান্না কুকুরপ্রেমীদের পরামর্শ দেন, যাঁরা যাঁরা পথকুকুরদের খাওয়ান তাঁরা যেন যে-নির্দিষ্ট কুকুরগুলিতে তিনি খাওয়াচ্ছেন সেগুলির গায়ে একটা দাগ দিয়ে দেন।

বিচারকদ্বয় এরকম একটি রায়ের ব্যাখ্য়া হিসেবে বলেছেন, তাঁরা আসলে যাঁরা নিয়মিত পথকুকুরদের খাওয়ান এবং যেসব পথচারীরা নিয়মিত পথকুকুরের আক্রমণের মুখে পড়েন তাঁদের মধ্যে একটা ভারসাম্য তৈরির চেষ্টা করা। কিন্তু কেন কুকুরগুলিকে খাওয়ানোর বিষয়টি এখানে এত গুরুত্ব পেয়ে গেল? বিচারকেরা পর্যালোচনা দেখেছেন, রাস্তার কুকুর তখনই হিংস্র হয়ে ওঠে যখন তাদের খিদে পায় কিন্তু তারা সামনে কোনও খাবার পায় না। অথবা তাদের শরীরে কোনও আঘাত-ক্ষত থাকলেও তারা একইরকম হিংস্র হয়ে থাকে। ফলে এই ধরনের কুকুরদের থেকে দূরত্ব রক্ষা জরুরি।

জেনে রাখা ভালো কুকুরের আক্রমণে অগস্ট থেকে ৮ জন মারা গিয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন স্কুলপড়ুয়া এবং মহিলা কুকুরের আক্রমণে নাজেহাল হয়েছেন। কেরালায় কুকুরের আক্রমণে বছর বারোর এক বালক মারা গিয়েছিল। এর পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আলোচনা চলছিল।

তবে বিষয়টির এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর একটি শুনানি রয়েছে এমনটা সূত্রের খবর।