আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রাজ্য সরকার
বিশেষ প্রতিনিধি , গৌরাঙ্গ নগর: কালীপুজোর দিন হাতিয়াড়া জ্যাংড়া অঞ্চলের গৌরাঙ্গনগরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। শতাধিক মানুষের খাদ্য সংস্থান ও বাসস্থান প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে যায়।এলাকাবাসীর ও জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় বড় ক্ষতির হাত থেকে সাময়িকভাবে রক্ষা পেলেও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতিকুলতা সৃষ্টি হয়।তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে স্থানীয় রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতি।ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় গৌরাঙ্গনগর নবীনচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী তৎক্ষণাৎ সাহায্যের জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। স্থানীয় বিডিও থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি ও স্থানীয় নেতৃত্বের তৎপরতায় সব রকমের সাহায্য ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য করা হচ্ছে।
মানবিক মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে ক্ষতিগ্রস্ত ২৯ জন ব্যক্তির প্রত্যেকের হাতে ৩৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উঃ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা বিশিষ্ট শিক্ষক নেতা এ কে এম ফারহাদ , রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর , স্থানীয় বিডিও জয়ন্ত চ্যাটার্জি , পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আফতাব উদ্দিন, ওসি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সহ স্থানীয় প্রশাসনিক নেতৃবৃন্দরা।
রাজ্যের খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন আমাদের রাজারহাট নিউটাউন এর যে অঞ্চলে ভয়াবহ আগুন লেগেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা সকলের দ্রুত উন্নতি কামনা করছি। আমাদের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর অনুপ্রেরণায় ও স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৯ জন ব্যক্তির ৩৫ হাজার টাকা করে চেক তুলে দেওয়া হল। আমরা আশা করি ক্ষতিগ্রস্ত সকল মানুষের যে কোনো সাহায্যের জন্য স্থানীয় প্রশাসন অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে বিগত দিনে যেমন কাজ করে এসেছে ঠিক তেমনি কাজ করবে। কারো কোন সমস্যা থাকলে প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানাবেন আমরা সর্বতোভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করব বলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বাবু জানান।
উপস্থিত জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট শিক্ষক নেতা একেএম ফারহাদ বলেন, যে কোন ক্ষতি অত্যন্ত দুঃখের কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম মেনে নিতে হয়।আমাদের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী সকলের জন্য যে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আমাদের খাদ্য মন্ত্রীর উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের হাতে সাহায্য তুলে দেওয়া হয়। রাজ্য সরকার অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে সব সময় সাহায্যের জন্য সদা তৎপর। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর বলেন, দুর্ঘটনা ঘটার কুড়ি মিনিটের মধ্যে এখানে আমি হাজির হই এবং দমকলের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ সম্পন্ন হয়। রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতি সব সময় গৌরাঙ্গ নগর তথা এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত।