BIG NEWS শুভেন্দু কাণ্ডে ভাঙছে তৃণমূল
জয়দীপ চক্রবর্তীর প্রতিবেদন: প্রথমে মন্ত্রিত্ব,তারপর বিধায়ক পদ,অবশেষে আজ দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কের সুতো ছিন্ন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।আর তারপর থেকেই জেলায় জেলায় তৃণমূল (TMC) নেতাদের যেন পদত্যাগের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। কেউ দল ও পদ,দুয়ের থেকেই পদত্যাগ করেছেন।কেউ ‘কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না’, এই অভিযোগে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
এদিন শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে দল ছাড়লেন শুভেন্দু অনুগামী যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর অরোরা ওরফে মানিক। তাঁর সঙ্গেই আরও অনেকে এদিন দল ছাড়েন। দীপঙ্কর অরোরা জানান, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) যেদিকে যাবেন আমরা সেদিকে যাব। কারণ তাঁকে দেখেই আমরা দলটা করতাম।উনি যে দলে যোগ দেবেন সেই দলেই আমরাও যোগ দেব।এতদিন আমরা দলটাকে ভালোবেসে করতাম। কিন্তু এই দলে স্বচ্ছ কর্মীদের কোনও জায়গা নেই। তাই অনেকেই এই দল ছেড়ে চলে যাবে। দলের অনেক নেতাই নিজেদের বিশাল বড় কিছু ভাবেন। কয়েকজন মিলেই দলটা চালাচ্ছেন। অন্যদের কোনও গুরুত্ব নেই এই দলে।”
উল্লেখ্য এই দীপঙ্কর অরোরা ২০১৪ সালে একবার TMC ছেড়ে BJPতে যোগ দিয়েছিল। পরে আবার অবশ্য তিনি ফিরে আসেন। তাই তাঁর ফের দল ছাড়া নিয়ে দার্জিলিং জেলা TMC সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, “ও যাওয়ায় দলের কোনও ক্ষতি হবে না। বাচ্চা ছেলে পরে আবার ফিরে আসবে।”
অন্যদিকে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের পদত্যাগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দ্রোণাচার্য ব্যানার্জি। হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দলনেতা ছিলেন তিনি। দলনেতা ও দলীয় পদ, দুয়ের থেকে পদত্যাগ করলেন তিনি। ব্লক সভাপতিকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি দুর্গাপুর নগর নিগমের বোরো চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন চন্দ্রশেখর ব্যানার্জি।এদিন মেয়র দিলীপ কুমার অগস্তির কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি। বলেন, তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। এলাকায় উন্নয়নের টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে না। একইসঙ্গে I-pac এর বিরুদ্ধেও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে আজই আসানসোল পুর প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tewari)। পদত্যাগ করেছেন তৃণমূলের (TMC) পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতির পদ থেকেও। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী তিনিও তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়লেন।