অন্নপূর্ণা শৃঙ্গ জয় করলেন চন্দননগরের পিয়ালি বসাক
নিজস্ব সংবাদদাতা : আজ সকালে পৃথিবীর দশম উচ্চতম ও দূর্গম শৃঙ্গে আরোহণ করেন চন্দননগরের পাহাড় কন্যা পিয়ালি বসাক। ১৬ মার্চ অন্নপূর্ণা ও মাকালু পর্বত শৃঙ্গ জয় করার লক্ষ্যে বেরিয়ে ছিলেন চন্দননগরের এভারেস্ট জয়ী পর্বত আরোহী পিয়ালি।
প্রথম পর্বতারোহী হিসাবে বিনা অক্সিজেনে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। এভারেস্টের শৃঙ্গে উড়িয়েছিলেন ভারতের জাতীয় পতাকা। জেনে রাখা দরকার হুগলির চন্দননগরের পিয়ালি বসাক ফের বেরিয়ে পড়েছেন পর্বত জয়ের অভিযানে। তাঁর লক্ষ্য ছিল, বিনা অক্সিজেনে জোড়া শৃঙ্গ – অন্নপূর্ণা ও মাকালু আরোহণ।
পিয়ালির বোন তমালি বসাক জানান, নেপালের এজেন্সির থেকে খবর পেয়েছেন যে, অক্সিজেন নিয়ে আজ সকালে অন্নপূর্ণা সামিট করেছেন পিয়ালি। বিনা অক্সিজেনে শৃঙ্গ জয়ের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য তা সম্ভব হয়নি। কৃত্রিম অক্সিজেনের সাপোর্ট নিতে হয়েছে চন্দননগরের সাহসী কন্যাকে।
মাথার ওপর ঋণের বিশাল বোঝা পিয়ালির এমনটা জানা গেছে। এভারেস্ট ও মাকালু অভিযানে গিয়ে প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকার দেনা হয়েছিল। তার ওপর গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বের ষষ্ঠ উচ্চতম শৃঙ্গ চো-ইউ গিয়েছিলেন। সেই অভিযানেও নতুন মাইলফলক তৈরি করেন পিয়ালি। সেই প্রথম নেপালের দিক দিয়ে কেউ চো-ইউ (৮২০১ মিটার) অভিযান করেন। সেই অভিযানেও বিপুল খরচ হয়েছে। বেড়েছে ঋণের পরিমাণ। সব মিলিয়ে এখনও ৫০ লক্ষ টাকার দেনা। তবুও পর্বতারোহণে অদম্য বঙ্গকন্যা।
১৬ মার্চ অভিযানে বেরনোর দিন পিয়ালি বলেছিলেন, ‘সেরকম কোনও স্পনসর পাইনি। সকলের আশীর্বাদ চাইছি। সাধারণ মানুষ আমার পাশে থেকেছেন। তাঁদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকব।’
অন্নপূর্ণা শৃঙ্গ জয় করায় জন্য চন্দননগরের পিয়ালি বসাকের প্রতি রইলো আমাদের শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা।