Headlines

টাকা জমানোর নেশায় ভিক্ষা করেন ৬০ হাজার বেতনের সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী

নিজস্ব সংবদদাতা : ভিক্ষাজীবী ভেবে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভবঘুরেদের রাত্রি-নিবাসে। কিন্তু জানা গেল, ভিক্ষাবৃত্তি তাঁর নেশা। তিনি পেশায় সরকারি হাসপাতালের কর্মী! মাসিক বেতন প্রায় ষাট হাজার টাকা! স্ত্রীর দাবি, টাকা জমানোর নেশায় দীর্ঘদিন ভিক্ষা করছেন তাঁর স্বামী। বাড়িতে টাকা না দিলেও ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে ‘মোটা’ টাকা রয়েছে তাঁর। বাঁকুড়া শহরের এমন ঘটনাটি ঘটেছে।

শুক্রবার গভীর রাতে বাঁকুড়া স্টেশনের টিকিট কাউন্টার চত্বর থেকে বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন বাঁকুড়া পুরসভার ভবঘুরেদের রাত্রি-নিবাস পরিচালনকারী সংস্থার কর্মীরা। সেখানে প্রাথমিক ভাবে ভিক্ষাজীবী হিসেবে নিজের নাম-পরিচয় লেখান প্রৌঢ়। কিন্তু রবিবার সেখান থেকে বেরনোর জন্য জোরাজোরি শুরু করেন তিনি। রাত্রি-নিবাসের কর্মীদের দাবি, তাঁদের কাছে তিনি স্বীকার করেন সরকারি হাসপাতালের কর্মী। তাঁর নাম-পরিচয়ও আলাদা। হাসপাতালের কাজে যোগ দিতে চেয়ে তিনি আবেদন করায় মঙ্গলবার সকালে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে পুরো ঘটনাটি পুলিশকে লিখিত ভাবে জানিয়েছে ভবঘুরেদের ভবন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থা।

শুক্রবার গভীর রাতে বাঁকুড়া স্টেশনের টিকিট কাউন্টার চত্বর থেকে বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন বাঁকুড়া পুরসভার ভবঘুরেদের রাত্রি-নিবাস পরিচালনকারী সংস্থার কর্মীরা। সেখানে প্রাথমিক ভাবে ভিক্ষাজীবী হিসেবে নিজের নাম-পরিচয় লেখান প্রৌঢ়। কিন্তু রবিবার সেখান থেকে বেরনোর জন্য জোরাজোরি শুরু করেন তিনি। রাত্রি-নিবাসের কর্মীদের দাবি, তাঁদের কাছে তিনি স্বীকার করেন সরকারি হাসপাতালের কর্মী। তাঁর নাম-পরিচয়ও আলাদা। হাসপাতালের কাজে যোগ দিতে চেয়ে তিনি আবেদন করায় মঙ্গলবার সকালে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে পুরো ঘটনাটি পুলিশকে লিখিত ভাবে জানিয়েছে ভবঘুরেদের ভবন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থা।

বাঁকুড়া পুর-প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দিলীপ আগরওয়াল ও পুরসভার ভবঘুরেদের রাত্রি-নিবাস পরিচালনকারী সংস্থার সম্পাদক অরুণ সিংহ এ দিন বলেন,‘‘ভিক্ষাজীবী পরিচয় পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও রবিবার ওই ব্যক্তি ছাড়া পাওয়ার জন্য জেদাজেদি করায় সন্দেহ হয়। উনি সরকারি কর্মী শুনে আমরা তাজ্জব!’’ মহকুমাশাসক (বাঁকুড়া সদর) সুশান্তকুমার ভক্ত বলেন, “শীঘ্রই ওই ব্যক্তির মানসিক অবস্থা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলব।”

এই বিষয়ে এক সহকর্মী বলেন, “আমরাও ওঁকে স্টেশনে, বাসস্ট্যান্ডে ভিক্ষা করতে দেখেছি বহু দিন। নিষেধ করলে বলেন, ‘চাকরি করলে ভিক্ষা করা যাবে না, এমন নিয়ম আছে না কি’?’’ ওই প্রৌঢ় মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। এ দিন বহু চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি তাঁর সঙ্গে। তবে তাঁর স্ত্রীর দাবি, ‘‘বিয়ের পরেই জানতে পারি, টাকা জমানোর নেশাতেই চাকরির বাইরেও ভিক্ষা করেন স্বামী। শুনেছি, দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। 

এই প্রৌঢ় যে হাসপাতালের কর্মী তার সুপার সুনীলকুমার সিংহ বলেন ওই ব্যক্তির পরিবার নানা অভিযোগ করেছেন,দেখছি কি করা যায়।