মিড-ডে মিলে ড্রাগন ফল
নিজস্ব সংবাদদাতা : মিড-ডে মিলের খাবারের মান নিয়ে বহুবারই বিতর্কে সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের রায়নার মাদানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলে নয়া চমক। এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পুষ্টিলাভের জন্যে মিড-ডে মিলের খাবারের সঙ্গে দেওয়া হয় স্কুল ঘরের ছাদে চাষ করা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল। “ড্রাগন ফল’ মিড-ডে মিলের পাতে পড়ায় বেজায় খুশি এই বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
জেনে রাখা দরকার রায়না ১ ব্লকের শ্যামসুন্দর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত প্রত্যন্ত গ্রাম মাদানগর। এই গ্রামেই রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ের ১৮৯ জন পড়ুয়াকে শিক্ষাদানের জন্যে এই বিদ্যালয়ে রয়েছেন ৫ জন শিক্ষক।প্রায় আড়াই বছর হল সেখানে চলছে ’ড্রাগন ফলের’ চাষ।২০২৩ সাল থেকে ড্রাগন গাছে মূল্যবান ফলও ভালো ফলছে।পাশাপাশি বিদ্যালয় ভবনের লাগোয়া ফাঁকা জায়গার মাটিতে মিড-ডে মিলের জন্যে কিছু সবজির চাষও হচ্ছে।বিশেষ ব্যস্থায় শতাধীক ড্রাগন ফলের গাছ বিদ্যালের ছাদে লাগানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সবজি দিয়ে তৈরি মিড- ডে মিলের খাবারের সাথে পুষ্টিদায়ক ড্রাগন ফল খেতে পেয়ে পড়ুয়ারাও আহ্লাদিত। আর স্কুলের এমন চাষাবাদ এলাকার কৃষকদেরকেও যেন অবাক লাগিয়ে দেয়েছে।
এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে বলেন, “ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ অন্যান্য ফলের থেকে অনেক বেশি। এই ফলে প্রচুর ’ভিটামিন সি’ আছে।এছাড়াও আছে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম,ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড, বিটা-ক্যারোটিন ও লাইকোপেনের মতো অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। আরও আছে ফাইবার ও আয়রন, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।ক্যালরি কম থাকায় এই ফল খেলে ওজন বাড়ার কোনো সম্ভাবনাও থাকে না”। পুষ্টির জন্যে মিড-ডে মিলে এমন ’ড্রাগন ফল’ বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের খাওয়ানোর ভাবনা জাগে।এছাড়াও ড্রাগন ফলের চাষ করে বাণিজ্যিকভাবে সফলতা পাওয়া গেলে সেটায় স্কুলও আর্থিক ভাবে লাভবান হবে। এইসব বিষয় মাথায় রেখেই বিদ্যালয় ভবনের ছাদে ড্রাগন ফল চাষের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।