পঞ্চায়েত

বাগদার স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে , বৃহত্তর উদ্যোগের প্রয়োজন ।

জয়দীপ চক্রবর্তী, বাগদা: কোভিডের দ্বিতীয় থাবাতে ভারতবর্ষ তথা আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ভীষণ ভাবে আক্রান্ত সেখানে দাঁড়িয়ে আমাদের সবচেয়ে সংক্রামক প্রবণ এলাকা বলে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার নাম বারবার শিরোনাম হতে দেখা যাচ্ছে,ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই জেলারই বাগদা বিধানসভা এলাকার গ্রামীণ হাসপাতালে পৌঁছে স্তম্ভিত হতে হলো। সরকারি বিনা পয়সার চিকিত্সা মেলে প্রতিটি গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মতো বাগদাতেও সকাল দশটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত ।সেখানে প্রতিদিনই শত শত রোগীদের পরিষেবা নিতে আসাযাওয়া।নাম গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় সূত্রে জানা গেল কোভিড পরিস্থিতির প্রথম দিকে কিছু কিছু নিয়মকানুন মানলেও কোভিডের এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে একটা গাছাড়া মনোভাব, বজ্র আটুনি ফস্কা গিড়োর মতো নজরে আসছে হসপিটাল চত্ত্বরের ইতিউতি সর্বত্রই।দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের জন্য প্রকৃত পক্ষে কোনো বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা তো দূরের কথা তাঁদের কোভিড বিধি অনুযায়ী চিকিৎসা পেতে লাইন তৈরি করে দাঁড় করানোর মধ্যেও একশ্রেণীর স্বাস্থ্য কর্মী দের মধ্যে ভয়,আশঙ্কা সর্বোপরি অনীহা কাজ করছে অথচ হসপিটালে এই সংক্রান্ত কাজকর্ম সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে চুক্তি ভিত্তিক কর্মচারী থেকে সরকারি কর্মচারী সংখ্যা টা মোটের উপর কম নয়।বয়ড়ার মালিদা গ্রামের এক পেশেন্টের বাড়ির লোকজন অত্যন্ত আক্ষেপের সুরে জানালেন আমার ছেলের জ্বর,অ্যাম্বুলেন্স দরকার,যেখানে অন্য সময় 600 টাকাতে বনগাঁ তে অ্যাম্বুলেন্স পেয়েছি এতকাল,এখন ভাড়া চাইছে 3500/4000 টাকা ,আমরা গরীব চাষি, এত টাকা পাবো কোথায়?অগত্যা বাগদা বাজারের অটো ডেকে অটোতে 300 টাকা দিয়ে ছেলেকে বনগাঁ নিয়ে গেলাম।এইরকম রক্তপরীক্ষা থেকে ইসিজি থেকে শুরু করে নানান অভিযোগ শুনতে,শুনতে এতদিনের চেনা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকেই কেমন যেন অচেনা মনে হচ্ছিল।কোভিড পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রকমের বিধিনিষেধের মধ্যে দিয়ে স্বাস্থ্য কর্মীদের চলতে হচ্ছে তাই বলে সাধারণ পিছিয়ে পরা সহায়সম্বলহীন মানুষদের কেন এইরূপ ঘটিবাটি বিক্রি করার ব্যবস্থা সেই প্রশ্নগুলো এলাকার অলিতে গলিতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে।