ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের গভীর রাতে শৌচাগারে উদ্ধার দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা,ডিজিটাল ডেস্ক :প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্ত প্রয়াত হলেন। বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। ১৭ সেপ্টেম্বর মাঝ রাতে আচমকা তাঁর মৃত্যুর খবর জানা যায়।
শর্বরী দেবীর তেমন কোন বড় অসুখ ছিলোনা। ইতিমধ্যে শর্বরী দত্তের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। গতকাল সকাল থেকেই তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও অনেকে পাননি। এর পরেই গভীর রাতে তাঁর ব্রড স্ট্রিটের বাড়ির শৌচাগারে দেহ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ, হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন তিনি। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করেছে।
জেনে রাখা ভালো শর্বরী দেবী নিজের বাড়িতে ছেলে ও পুত্রবধূর সঙ্গে থাকতেন। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সারা দিনই তাঁদের সঙ্গে দেখা হয়নি শর্বরীর। ১৬ সেপ্টেম্বর ডিনারে মায়ের সঙ্গে দেখা। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে এই ঘটনা। গভীর রাতে দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় দেহ। তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।বাথরুমে তার দেহের পাশে রক্ত পড়ে ছিল। কানের পাশেও একটি ক্ষতচিহ্ন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসক। তবে দেহ কতক্ষণ সেখানে পড়ে ছিল তা জানা যায়নি।
নয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে ফ্যাশন দুনিয়ায় অন্য ধারা নিয়ে কাজ শুরু করেন শর্বরী। পুরুষদের ফ্যাশন নিয়ে সে ভাবে যখন কোনও কাজই হতো না। ঠিক সেই জায়গাটাতেই অভিনব ভাবনা নিয়ে আসেন শর্বরী দেবী।
ধুতির ফ্যাশনে সারা দুনিয়া এক নামে চিনত তাঁকে।
রঙিন ধুতির পাড়ে কাঁথা স্টিচ বা রাজস্থানী প্রিন্ট– এসবের সৃষ্টি ছিল তাঁরই। বিভিন্ন দেশের লোক সংস্কৃতিকে পোশাকে ফুটিয়ে তুলতেন শর্বরী। তার মধ্যে অন্যতম ছিল মিশরীয় সভ্যতা। ২০০৮ সাল নাগাদ তাঁর ধুতি পাঞ্জাবির উপর ইজিপ্ট ঘরানার কারুকার্য করে তিনি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও জিতেছিলেন।
আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া ফ্যাশন জগতে ও টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিতে।