দুর্গাপুজোর পাঁচদিন খাদ্যরসিকদের সেবায় গোল্ডেন টিউলিপ
নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা : সারা বিশ্বে বাঙালিদের নিজেদের উৎসব বলতে গেলে সবার আগে দুর্গোৎসব এর কথাই মনে আসবে। বাঙালির জীবনে দুর্গাপুজো এই বাংলায় আর আটকে নেই। বহুদিন ধরেই দুর্গাপুজোর বিশ্বায়ন হয়েছে। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব হিসেবে ইতিমধ্যে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। এই দুর্গাপুজো নিয়ে মাতামাতি শুধুমাত্র বাঙালিরাই করেন এমন টা নয় এই পুজোকে কেন্দ্র করে অন্যান্য জাতি ও ধর্মের মানুষও নির্বিশেষে সামিল হয়ে আনন্দ উপভোগ করেন। দুর্গাপুজোর সময় পাঁচদিন পুজো হবে আর সেইসাথে জমজমাট পেট পূজো হবে না এটা ভাবাই যায় না। সারা বছর ধরে বাড়ির একই রকম খাবার খেয়ে মুখে যখন অরুচি চলে আসে সেই অরুচি কাটাতে এবং খাবারের স্বাদ বদলাতে বাড়ির হেঁসেলে তালা মেরে কয়েকদিনের জন্য বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁয় খাওয়ার চল বহুদিন ধরে চলে আসছে। খাদ্য রসিক বাঙালির রসনা তৃপ্ত করতে বিভিন্ন হোটেল কর্তৃপক্ষ দুর্গাপুজোর প্রায় একমাস আগে থেকেই পরিকল্পনা করেন এবারে তাঁরা কি থিম উপস্থাপন করবেন। পদ ও মূল্যের তালিকায় সামঞ্জস্য রেখে খাদ্য তালিকা নির্মাণ মোটেই সহজ কাজ নয়। সল্টলেক সিটি সেন্টার- ১ এর বিপরীতে গোল্ডেন টিউলিপ এক বিলাসবহুল হোটেল হিসেবে ইতিমধ্যে খ্যাতি অর্জন করেছে আতিথ্যের উৎকর্ষে। প্রতিবারের মত এবারও পুজোর দিনগুলিতে গোল্ডেন টিউলিপ হোটেল “পুজোর আড়ম্বর ও আহার” ক্যাচ লাইনে আয়োজন করেছে উৎসবের সাবেকি বাঙালি খাদ্য।
সুসজ্জিত পরিবেশ ও মৃদুমন্দ সঙ্গীতের লহরী। এছাড়াও বাঙালিদের সাবেকি পোশাকে স্ত্রী পুরুষ পরিবেশকদের আন্তরিকতা উৎসবের খাদ্য তৃপ্তিতে আলাদা মাত্রা যোগ করে। পুজোর তিনদিনে ব্যুফে তালিকায় থাকছে ,গন্ধরাজ লেবুর শরবত/ ছাঁচ, আম পান্না। শুরুতে নারকেল বড়া, কুমড়ো ফুলের বড়া , মোচার চপ , মাছের সংগ্রাম , দেশি ডিমের ডেভিল, ছানা কড়াইশুটির চপ . পেঁয়াজ পোস্ত বড়া , মাছের কবিরাজি বিস্তার , পঞ্চ স্যালাড।অনুপমের কথা শুনে যদি আরও গভীরে যাই সেখানে পাবো ভাজা, কড়াইশুটির কচুরি, লুচি, রাজকীয় রাধা বল্লভী, হিংয়ের কচুরি, ধোঁকা ডালনা , কাঁচকলার কোপ্তা কারি, সোনালি মুগের ডাল, ছোলার ডাল , শুক্তনি ,ছানার ডালনা, ভাজা মশলার আলুর দম। মাছের তালিকায় ইলিশ, কাতলা, চিংড়ি, মাংসে খাসি, মুরগির হরেক পদ। তিনদিন তিন রকম।।
আবার অনেকে ব্যুফের দীর্ঘ তালিকার চেয়ে বাছাই করে খেতে চান তাঁদের জন্যও রয়েছে চারদিনের চমক থালি। থাকছে মরিচ মুরগি, কাতলা কালিয়া সুবাসিত বাসমতি, রাণীর পোলাও রাজনন্দিনী, বাহারি মুরগির কারসাজি, ঘরোয়া মশলার খাসির মাংস , মুচমুচে চিংড়ির কারসাজি , রুচিশীল জলপরী ( চিংড়ি) ,বাংলার বাষ্পসনত ভেটকি পাতুরি, পাবদা পোস্ত কাসুন্দি , মালাই ঠাসা রসালো জলপরী ( চিংড়ি), আম মুরগি, সরষে মাছ , মাছের মাথা দিয়ে মুগ ডাল। শেষ পাতে ফল চাটনি, আমসত্ত্ব দিয়ে খেজুরের চাটনি . আনারসের চাটনি, ডিসকো পাঁপড় । মিষ্টির তালিকায় আছে রসগোল্লা, সীতাভোগ . মিষ্টি দই, ক্ষীরের গজা, ছানার পায়েস, রসবতী গুলাবজাম, মিহিদানা, লাইভ জিলিপি সঙ্গে রাবড়িহট চকোলেট আইসক্রিমসহ নানা স্বাদের আইসক্রিম ও কুলফি । এছাড়াও কলকাতা চিকেন বিরিয়ানি, কচি পাঁঠা আর হাঁসের ডিমের ডাকবাংলো ।
এখানে রয়েছে হুকা বারে বেবি কর্ন, চিকেন, চিজ টিক্কা, রোস্ট, পিজা, পাস্তার বিশাল আয়োজক। আর যাঁরা রসে বশে উৎসবকে উপভোগ করতে চান তাঁদের জন্যও রয়েছে রাজকীয় আয়োজন। এক ছাদের তলায় এক কথায় বলা যায় সব পেয়েছির আসর। এমনটাই জানালেন হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার সদা হাসিখুশি সুমন্ত মাইতি। একটা ফোনে বুকিং করে নিশ্চিন্তে ব্রেকফাস্টের জন্য পৌঁছে যান সকাল ৭ টা থেকে ১১ টার মধ্যে। লাঞ্চ শুরু ১২ টা থেকে সাড়ে তিনটে পর্যন্ত। ডিনার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ১১ টা। এছাড়াও পুজো পরিক্রমার মাঝে মধ্য রাত পর্যন্ত এনার্জি পেতে চা, কফি, পানীয় সঙ্গে টুকটাক খাদ্যের জন্য হাজির গোল্ডেন টিউলিপ। দাম নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই ব্যুফে মাত্র ১২৯৯/-টাকা কর সমেত।সুমন্ত বাবু বলেন এই বছর প্রথমবার আমরা সাধারণ মানুষের কথা ভেবে থালি’র আয়োজন রেখেছি ভেজ থালি মাত্র ৮৯৯/- টাকা এবং নন ভেজ থালি মাত্র ৯৯৯/-টাকা সবই কর সমেত। উল্টোডাঙ্গা দিয়ে বাস এবং অটো করে আরামে পৌঁছে যাবেন হোটেলে অন্যদিকে শিয়ালদহ, ফুলবাগান থেকেও মেট্রোতে সিটি সেন্টার স্টেশনে আসা যায় নিমেষের মধ্যে। মহাষষ্ঠী থেকে মহাদশমী কোন দিন যাবেন!