গঙ্গা ভাঙনে গৃহহীন ৪০ টিরও বেশী পরিবার।
সিদ্ধার্থ সাহা , মালদা : কালিয়াচক ৩ নং ব্লকের বৈষ্ণবনগর অঞ্চলের বীরনগর ১ জিপির চিনাবাজারে আচমকা গঙ্গা ভাঙনে গৃহহীন ৪০ টিরও বেশী পরিবার। বিগত ১৫-১৬ বছরের মধ্যে গঙ্গা এইখানে ভয়াল রূপ ধারণ করেনি বলেই স্থানীয় মানুষদের বক্তব্য। কিন্তু এইবছর অগাস্টের শেষের দিনগুলি থেকে হঠাৎ “পহল” লাগা শুরু হয় এই অঞ্চলে। এনটিপিসি র সাহায্যে গড়ে তোলা বালির বস্তার মার্জিনাল বাঁধটি চোখের নিমেষে গ্রাস করে গঙ্গা ধেয়ে এসে ঢুকে পরে জনবসতির ভেতর। আতঙ্কগ্রস্থ গ্রামবাসীরা খড়কুূটো আঁকড়ে ধরার মত নিজেরাই বাড়ি ভেঙে ইঁট, টিন এইসব নিয়ে সরে আসতে থাকেন নতুন আশ্রয়ের আশায় গ্রামের আরও ভেতরের দিকে। তাঁবু খাটিয়ে সাময়িক আশ্রয় নেওয়ার স্থানাভাবও বর্তমানে এইজায়গার বড় একটি সমস্যা। একদিকে গৃহহীনদের ভীড়, অন্যদিকে যাঁরা এখনও গৃহহীন হননি, তাঁরাও ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিজেদের আশ্রয় সুনিশ্চিত করতে ব্যস্ত। আপাতত গঙ্গা শান্তরূপ ধারণ করলেও আতঙ্ক এক বিন্দুও কমেনি গ্রামবাসীদের। এদিকে ভাঙন শুরু হওয়ার খবর পেয়েই এলাকা পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় বিধায়ক স্বাধীন কুমার সরকার এবং কালিয়াচক ৩ নং ব্লকের বিডিয়ো গৌতম দত্ত, স্থানীয় তৃণমূল নেতা পরিতোষ সরকার বাচ্চু এবং তৃণমূলের যুব সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস। দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আশ্বস্ত করেন নেতৃবৃন্দ এবং সরকারি আধিকারিকরা, দুর্গতদের রিলিফেরও ব্যবস্থা করা হয়, কিন্তু বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ স্পষ্ট। তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, পূর্বে বাঁধ নির্মানের জন্য এবং বর্তমানে এই ভাঙন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সরকার থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা বরাদ্দ হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। একদিকে গ্রামজুড়ে ভাঙনের ভয়ঙ্কর ক্ষত, আশ্রয়হীনতার ব্যথা আর ভবিষ্যতে একটু ভালো আশ্রয় পাওয়ার আশা, এই নিয়েই দিন কাটছে চিনাবাজারের বাসিন্দাদের।